স্প্যানিশ লা লিগায় জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। নিজ মাঠে রাতে আথলেটিক বিলবাওকে ৩-১ গোলে হারায় চ্যাম্পিয়নরা। ২৯ নভেম্বর আলাভেসের কাছে হারার পর লিগে টানা তিন জয় তুলে নিল জিনেদিন জিদানের দল। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে জয় ধরলে সংখ্যাটা চার।
রিয়ালের মাঠ স্তাদিও আলফ্রেদো দি স্তেফানোতে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বিলবাও। ১৪ মিনিটে টনি ক্রুসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের ডিফেন্ডার রাউল গার্সিয়াকে।
এর মিনিট পাঁচেক আগেই ক্রুসকে ফাউল করেই হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন গার্সিয়া। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বিলবাও।
ম্যাচে এক জন বাড়তি খেলোয়াড়ের সুবিধাটা নিতে শুরু করে রিয়াল। ৪১ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দলকে নিরাপদে রাখেন বিলবাও কিপার উনাই সিমোন।
এর চার মিনিট পরই ম্যাচে প্রথম সাফল্য পায় স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে স্কোরলাইন ১-০ বানিয়ে দেন ক্রুস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রিয়ালকে কাঁপিয়ে দেয় বিলবাও। ৫২ মিনিটে রিয়ালের বক্সে দি মার্কোসের সঙ্গে ওয়ান-টুর পর বল পেয়ে যান এনদার কাপা। তার কাছ থেকে নেয়া প্রথম শট রিয়াল কিপার থিঁবো কোতোয়া প্রতিহত করলেও, রিবাউন্ডে গোল করে বিলবাওকে সমতায় ফেরান কাপা।
রিয়াল লিড ফিরে পার এর মিনিট বিশেক পর। শর্ট কর্নার থেকে বল পেয়ে যান দানি কারভাহাল। তার ক্রস বক্সে খুঁজে পায় কারিম বেনজেমাকে। স্কোরলাইন ২-১ করতে ভুল করেননি এই ফ্রেঞ্চম্যান।
বেনজেমা নিজের দ্বিতীয় গোল পান ইনজুরি টাইমে। লুকা মড্রিচের অ্যাসিস্ট থেকে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
এমন জয়ের পরও সন্তুষ্ট হতে পারেননি রিয়াল বস। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় বেশি নিয়েও আমাদের জন্য সহজ ম্যাচ ছিল না। আমরা কিছুটা অস্থির ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট পেয়েছি এবং এটা টানা চার ম্যাচে জয় আমাদের। সুতরাং খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দেয়া যেতেই পারে, কারণ এটা ওদের প্রাপ্য।’
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে রিয়াল। এক ও দুইয়ে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদ ও আতলেতিকো মাদ্রিদেরও পয়েন্ট সমান ২৬। আতলেতিকো খেলেছে ১১ ম্যাচ।